Monday, November 9, 2020

ডুয়ার্স


পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সে ৩-৪ দিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের জন্য কেউ কিভাবে পরিকল্পনা করবে?

পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সে ৩-৪ দিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের জন্য কেউ কিভাবে পরিকল্পনা করবে?


ডুয়ার্স ভ্রমণ গাইড, খরচ, দর্শনীয় স্থান
লাটাগুড়ি

সেই লাটাগুড়ি আর নেই। সেই আটপৌরে, ঢিলেঢালা জনপদটি এখন টানটান, স্মার্ট। থাকার অঢেল ব্যবস্থার মধ্যে এখানে এখন ফাউ হিসেবে পাবেন উত্তরের ভূমিপুত্রদের বুকভরা আতিথেয়তা। পছন্দের আস্তানা বেছে নিয়ে লাটাগুড়িকে কেন্দ্রে রেখে ডুয়ার্স ঢুঁড়ে দেখা এখন অনেক সোজা। আর সেটা বুদ্ধিমানের কাজও বটে। উত্তরের প্রকৃতি বোধহয় মায়ের আগমন ধ্বনি শুনতে পায়। শরৎকালের ডুয়ার্স অসামান্য রূপসী। নিশ্চিতভাবে অন্য সব ঋতুর চেয়ে সুন্দরী। ওপারে গাঢ় নীল রঙা আকাশ। নিচে নীল পাহাড়কে পেছনে রেখে আদিগন্তে সাদায় সাদা কাশফুল বাঁকের মুখে তন্বী পাহাড়ি নদীর চড়ায় সুখের হাওয়ায় দুলছে। দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা বড্ড ঝলমলে এই সময়। ধ্রুপদী মাধুর্যের অপরূপ বিভঙ্গে মাত করে দিচ্ছে সে। ডাইনে বাঁয়ে চোখ জুড়ানো চায়ের সবুজ। মেয়ে কুলিরা দলে দলে চা পাতা তুলতে ব্যস্ত। খয়ের, শাল, শিমুল, অমলতাস, টুন, চিলাউন, শিশু, গামার, সেগুন, সদ্য বর্ষার জলে স্নাত হয়ে চিরসবুজের পোশাক পরেছে। জঙ্গলে জঙ্গলে তাই বাহারি সবুজের বিস্তার।


চোখ জুড়ানো চায়ের সবুজ

ট্রেন বা সড়ক যে পথেই আসুন লাটাগুড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে বেলা হয়ে যাবে। গরুমারা, চাপড়ামারি, খুনিয়া, চুকচুকি, মেদলার গহীন অরণ্য দিনে দিনে দেখে নেওয়ার জন্য লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সংলগ্ন বন বিভাগের দপ্তর থেকে পাস নিতে হয়। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃহস্পতিবার বাদ দিয়ে সকাল ও বিকেলে অরণ্য সফর করানো হয়। যেদিন এলেন সেদিন হয়ত বনভ্রমণ সম্ভব হবে না, তাই আশপাশটা দেখে নিয়ে পরের দিন জঙ্গলমহলে যেতে পারেন। হাতে সময় থাকলে সেদিনই দেখে নিন জল্পেশ শিব মন্দির, দোমোহিনী, চিকনমাটি, খাগরিজান, কালামাটি কিংবা মহাকালধাম।

দ্বিতীয় দিন (গরুমারা)

গরুমারা দেখতে চলুন। লাটাগুড়ি থেকে মাত্র ১৪ কিমি। চেকপোস্ট থেকে অরণ্যপথে কিমি পাঁচেক গেলে বন বাংলো। কাঠোর এই বাংলো থেকে ইনডং নদী ও আশপাশের জঙ্গল অসাধারণ লাগে। বন বাংলোর পাশেই রাইনো পয়েন্ট, গন্ডার দেখার নজরমিনার। ৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩০০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির সরীসৃপ আর ৩০ রকমের উভচর নিয়ে ৮০ বর্গ কিমি ব্যাপ্ত গরুমারা অভয়ারণ্য। ১৯৭৬ সালে অভয়ারণ্য ও ১৯৮০-তে জাতীয় অরণ্যের শিরোপা পেয়েছে এই বনাঞ্চল। জঙ্গলের ভেতরে আরও দেড় কিমি গভীরে যাত্রাপ্রসাদ নজরমিনার। ১৯৭১ সালে আসাম থেকে আনা এক হাতির স্মৃতিতে নজরমিনারের নাম দেওয়া হয়েছে। নিজের জীবন বিপন্ন করেও যাত্রাপ্রসাদ কিছু পর্যটকের জীবন বাঁচিয়েছিল। পাশের মূর্তি নদীর ওপারে জঙ্গল। এখান থেকে গণ্ডার, বাইসন না দেখাটাই আশ্চর্যের। কাছেই চুকচুকি নজরমিনার ও নিচে ‘সল্টলিক’। এখানে নুন চাখতে আসে নানা জানোয়ার। সামনের জলাভূমিতে শীতে ভিড় করে যাযাবর পাখিকূল। এ বনে শাল, সেগুনের সজাগ উপস্থিতি। আছে জিগা, তুন, খয়ের, শিশুর মতো আঞ্চলিক বনজের দলও। গরুমারার গা ঘেঁষা রামসাই চা-বাগান লাগোয়া কালীপুর ইকো ভিলেজ রিসর্ট। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কটেজের চারপাশে বিদ্যুতের বেড়া। অসাধারণ নৈসর্গ।


নজরমিনার

তৃতীয় দিন (চাপড়ামারি-ঝালং-বিন্দু) ডুয়ার্সের দর্শনীয় স্থান

ভোরে চটপট প্রস্তুত হয়ে পারমিট হাতে নিয়ে মহাকালধাম। গরুমারার দিকে না গিয়ে বাতাবাড়ি মোড় থেকে ডানদিক ধরুন। লক্ষ্য চাপড়ামারি। কিছুটা যেতেই হালকা জঙ্গল শুরু হবে। একটু বাদেই চোখে পড়বে স্বচ্ছ জলের মূর্তি নদীর গা ঘেঁষে রয়েছে দারুণ সুন্দর এক বন বাংলো। পরিবেশ ও বাংলো দেখে থাকতে ইচ্ছে হতেই পারে। মূর্তি বাংলোর অপার্থিবতা পেরিয়ে ৮ কিমি গেলে খুনিয়া মোড়। সে মোড় ছাড়াতে আবার শাল, সেগুনের নজরদারি। আরও এগিয়ে বাঁহাতি সরু রাস্তা চলে গেছে চাপড়ামারি বন বাংলো ও নজরমিনারের দিকে। জঙ্গল এখানে ঘন সবুজ। সূর্যের আলোও সেভাবে প্রবেশ করতে পারে না। বাংলোর চারদিকে বৈদ্যুতিন তারের বেড়া। বন বাংলোর পেছনের দিকে বনকর্মীদের কোয়ার্টার। ৭৮ রকমের বন্যপ্রাণী আর বিস্তর ঘাসের আয়োজন রয়েছে এই ৯৪২ বর্গকিমির অরণ্যে। প্রায় ৮০ রকম ঘাসের মধ্যে বেশ কিছু বিরল প্রজাতির। নানা অর্কিড আর চোখ ধাঁধানো পাখির সমারোহে উজ্জ্বল এই বন্যভূমি হাতিদের দারুণ পছন্দের। তাই যে-কোনও সময় হাতি চলে আসতে পারে। গরুমারা থেকে চামড়ামারি ১২ কিমি।



চামড়ামারি বন বাংলো

চামড়ামারিকে পেছনে রেখে এবারে চলুন আরও উত্তরে ঝালং-এর দিকে। পথে পড়বে কুমাই, গৈরিবাস। চড়াই বাড়তে বাড়তে উচ্চতম হয়েছে গৈরিবাসে। নিচে ঝালং উপত্যকা। গৈরিবাস থেকে ঝালং ৬ কিমি। সবুজের মধ্যে সর্পিল গতির জলঢাকা নদী। জলঢাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরেই ঝালং জনপদ। বিশেষ অনুমতি নিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেখে নিতে পারলে অনন্য অভিজ্ঞতার ভাগীদার হতে পারবেন। এখানকার বন উন্নয়ন নিগমের বাংলোতে না থাকাটা বোকামি। বাজার পেরিয়ে কিমি দশেক চড়াই ভাঙলে বিন্দু। গোটা পথ ধরে রয়েছে কমলালেবুর বাগান। বিন্দুতে জলঢাকা নদীর ওপরে একটা ব্যারেজ রয়েছে। ব্যারেজের পরেই ভুটানের শুরু। চলে গেছে ৬ কিমি দূরে ভুটানের তেন্ডু শহরে। ঝালং থেকে সামান্য গিয়ে রংবু নদীর সেতু পেরিয়ে যে দুটো পথ তার একটি বিন্দু গিয়েছে। অন্য পথে চলে যেতে পারেন প্যারন। প্যারনের উচ্চতা ২,৫৫০ ফুট। ঝালং থেকে ১০ কিমি। এখানে বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো রয়েছে। বাংলোর পেছনে পাহাড়ি ঢালে শাল আর ধুপি গাছের জঙ্গল। প্যারন থেকে গোদক কিংবা তারও পরে আরও প্রত্যন্তের বোদে পর্যন্ত গিয়ে ট্রেক করে যাওয়া যেতে পারে তাংতা।

চতুর্থ দিন (চালসা-মেটেলি-সামসিং-রকি আইল্যান্ড-সুনতালেখোলা)

আজকের যাত্রা চালসার দিকে। লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিমি। চালসা পেরিয়েই সাপের মতো পাক খেয়ে রাস্তাটা একচোটে প্রায় কয়েকশ ফুট উঠে যাবে। অথচ, এর পরে সমতল। বাঁহাতে অভিজাত সিনক্লিয়ার্স ডুয়ার্স রিট্রিটকে রেখে আরও এগিয়ে গেলে আইভিল, চুলসা, কিলকট, ইংডংদের সঙ্গ পাবেন। ছটফটে কিশোরীর নামের মতো শোনালেও ওরা সবুজ কিছু চা-বাগান। দু’হাতেই। ছোট্ট জনপদ মেটেলির পথ বড় কাব্যময়। মেটেলি থেকে ৭ কিমি আর চালসা মোড় থেকে ১৮ কিমি দূরে সামসিং। নির্জন এক পাহাড়ি গ্রাম। নেপালি ও গোর্খাদের সংখ্যাধিক্য এখানে। সামসিং থেকে নেওড়া উপত্যকার গভীরে যাওয়া যেতে পারে। সবুজের মাঝে এখানকার বন বাংলোটি দারুণ সুন্দর। বাগানঘেরা। সামান্য দূরে পাথুরে এবড়ো-খেবড়ো পথে অ্যাডভেঞ্চার করতে করতে পৌঁছে যান রকি আইল্যান্ড। তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। সামসিং থেকে ৪ কিমি গিয়ে সুনতালেখোলা। তার আগে ছোট্ট গ্রাম ভারিয়া। খেলনার মতো ছোট্ট কাঠের ঝোলা ব্রিজে পাহাড়ি নদী পেরিয়ে ওপারে গেলে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়নি নিগমের অসাধারণ পর্যটক আবাস। চারিদেকে পাহাড়ঘেরা এ এক অদ্ভুত নির্জন জায়গা। আলাপ করার জন্য প্রকৃতি সব সময়ে হাজির। কাছাকাছি ছোটখাটো ট্রেক করার ব্যবস্থাও আছে।


স্বচ্ছ জলের টলটলে নদী

পঞ্চম দিন (জলদাপাড়া-ফুন্টসোলিং-টোটোপাড়া)

আজ চলুন জলদাপাড়া (মাদারিহাট) ও ফুন্টসোলিং ডুয়ার্সের দর্শনীয় স্থান। অরণ্যের ৭ কিমি গভীরে হলং পর্যটক আবাসটি এলিট। একদা ভি ভি আই পি-রা ভিড় জমাতেন। জ্যোতি বসুর অত্যন্ত প্রিয় ছিল একসময়। এখন বুকিং মেলে। মূল গেট পেরিয়ে সামান্য এগিয়ে ডানহাতে মিনিট চারেক হাঁটলে মাদারিহাট পর্যটক আবাস। টলটলে জলের মালঙ্গী নদীর কাঠের সেতু পেরিয়ে সামান্যই। প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র, ছোট্ট চিড়িয়াখানা, অফিস, বনকর্মীদের আবাসন-সহ কাঠের বাংলো। একপাশে বর্গক্ষেত্রাকার মাঠ। মাঠের একধারে ছোট ছোট কটেজ। আশপাশে বন্য অরণ্য। এক শিং-এর গণ্ডারের জন্য খ্যাত জলদাপাড়ার গভীরে আরও অনেক প্রাণীর সঙ্গে দেখা হতে পারে। যখন-তখন উঁকি দেয় ময়ূর। পথ আটকে দাঁড়ায় ভয়াল দাঁতাল। গাছে গাছে দোল খায় বানর। পাখিরা কলতানে ভরিয়ে রাখে চারপাশ। বাংলোর হাতায় ‘হাতি পয়েন্ট’ থেকে হাতির হাওদায় চেপে বেড়িয়ে পড়া যায়। দেখা হয়ে যায় সম্বর, বুনো শুয়োর এবং নিমীলিত নেত্রের রাজকীয় গণ্ডারের সঙ্গে। মাদারিহাট থেকে আধঘন্টার দূরত্বে জয়গাঁ। দু’পাশে ঘন জঙ্গল রেখে ১০ কিমি গিয়ে তোর্সা ব্রিজ পেরোতেই হাসিমারা। তার পর আবার চা-বাগান। মাঝে মাঝে উঁকি দেয় সাদারঙা ফ্যাক্টরি, সাহেব-সাহেব বাংলো, কুলি বস্তি। ইচ্ছে করলে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়তে পারেন।


হলং বনবাংলো, জলদাপাড়া

জয়গাঁ বাসস্ট্যান্ড থেকে ২ কিমির মতো গিয়ে চিত্রবিচিত্র তোরণ পেরোলেই ভুটানের ফুন্টসোলিং। পাসপোর্টহীন, কাস্টমসের রক্তচক্ষু ছাড়া এ এক অদ্ভুত বিদেশ সফর। পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝলমলে পোশাকের নানান ভুটানি। পুলিসরা সব নীলরঙা, বাড়িঘরের সজ্জায় বৌদ্ধিক স্থাপত্যের ছাপ। পরিবেশটাই অন্যরকম। রীতিমতো আধুনিক শহর ফুন্টসোলিং। ওয়েলকাম গ্রুপের অভিজাত ‘হোটেল ড্রুক’ ছাড়াও নানা মানের অসংখ্য হোটেল রয়েছে এখানে। রাজধানী থিম্পু বা পারো শহর যেতে এখান থেকেই যাত্রা শুরু করতে হয়। লাগোয়া জয়গাঁ (ভারত)-তেও থাকতে পারেন। ফুন্টসোলং ঢুকতেই ডানহাতে বাসস্ট্যান্ড, বাঁহাতে বাজার, পার্ক। পার্কের ঠিক মাঝখানে একটি সুন্দর প্যাগোডা। আশপাশে নানা দোকান। বাজার পেরিয়ে আরও কিছুটা গেলে তোর্সা নদী। এই সময় তেমন জল থাকার কথা নয়। রূপোলি বালি চিকচিক করবে। বাজারে না ঢুকে আরও কিছুটা এগোলে খাড়াই পথের শুরু। খারবন্দী পাহাড়কে পেঁচিয়ে রাস্তা গেছে থিম্পু। মসৃণ রাস্তা। কোথাও কোথাও সশব্দে ঝর্না নেমে এসে রাস্তা ডিঙিয়ে চলে গেছে আরও নিচে। এ পথে ৪ কিমি গেলে ১,৫০০ ফুট উচ্চতার গোয়াবাড়ি টিলা।


ফুন্টসোলিংয়ের গুম্ফা ও চোর্তেন

এখানে রয়েছে সুন্দর গুম্ফা। বুদ্ধদেবের প্রায় তিন মানুষ সমান উঁচু মূর্তিটি দারুণ সুন্দর। মন্দিরময় কারুকাজ। একটু নিচে ছোট ছোট কয়েকটি চোর্তেন। গুম্ফা লাগোয়া ছবির মতো সুন্দর রাজপ্রাসাদ। তাতে অবশ্য প্রবেশ নিষেধ। ছুটির দিন হলে নিচে নামার সময় দেখতে পাবেন ভুটানি যুবকেরা জাতীয় পোশাক পরে জাতীয় ক্রীড়া তীরন্দাজি অভ্যাস করছে। অব্যর্থ ওদের হাতের লক্ষ্য। লক্ষ্যভেদ হলে রীতিমতো নেচে নেচে গান করে স্বীকৃতি জানানো হয় তীরন্দাজকে। মাদারিহাট থেকে মাত্রই ২০ কিমি দূরে টোটোপাড়া। পৃথিবীর লুপ্তপ্রায় জনজাতির মধ্যে টোটোরাই জনসংখ্যায় সবচেয়ে কম। প্রায় হাজার দেড়েক ফুট উচ্চতার টোটোপাড়া আপনাকে বিরল অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেবে সন্দেহ নেই। টোটো জনজাতির সংখ্যাবৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর সরকার নানা কর্মসূচী নিয়েছে। সুপারি গাছে ছাওয়া গ্রামে টোটোরা বাঁশে তৈরি খড়ের ঘরে থাকেন। ঘরগুলো মাচার ওপরে। টোটোপাড়ায় প্রচুর কমলালেবু পাওয়া যায়। বনজ আবহাওয়ার পাহাড়ি পরিবেশে একদিনের সফরে টোটোপাড়া এসে আপনার ভাল লাগবেই। মাদারিহাট থেকে ফালাকাটার দিকে ১০ কিমি গেলে খয়েরবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র। ফালাকাটা থেকে ৫ কিমি দূরে কুঞ্জনগর ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র।

ব্যাকপ্যাক

যাওয়া– নানা ভাবে যাওয়া যেতে পারে লাটাগুড়ি। ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরে নিউ মাল জংশনে নামুন। ভাড়া : ১এ-২,২৫৫ টাকা, ২এ-১,৩৪০ টাকা, ৩এ-৯৩৫ টাকা ও স্লিপার- ৩৪০ টাকা। সেখান থেকে চালসা হয়ে লাটাগুড়ি আসতে বাস বা ভাড়া গাড়ি মিলবে। দূরত্ব ২৫ কিমি। ১৩১৪১ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ও ১৫৯৫৯ কামরূপ এক্সপ্রেস ধরে নিউ ময়নাগুড়ি নেমেও এখানে আসা যায়। আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সড়কপথে ১.৪৫ ঘন্টায় সরাসরিও চলে আসতে পারেন।

থাকা– লাটাগুড়িতে থাকার জন্য বেশ কিছু বেসরকারি ব্যবস্থা আছে। সরকারি পর্যটক আবাসে অন্যান্য জায়গায় থাকতে যোগাযোগ করুন: পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম, কে বি ১৯, সেক্টর থ্রি, সল্ট লেক, গ্রাউন্ড ফ্লোর, কলকাতা ৭০০ ১০৬। ফোন ৭৬০৪০-৪৪৪৭৯,(০৩৩) ২২৩৫-০০৬৪ (বেলা ১০টা-বিকেল ৫টা)। ওয়েবসাইট:https://wbfdc.net/ বনবাংলোয় থাকতে লিখুন:ডি এফ ও, অরণ্য ভবন, ওল্ড কোর্ট ক্যাম্পাস, জুবিলি পার্ক, পোস্ট ও জেলা জলপাইগুড়ি, ফোন (০৩৫৬১) ২২০০১৭/২২৪৯০৭।

Sunday, November 8, 2020

গরুমারা


 পাহাড়, জঙ্গল, বণ্য প্রাণী, নদী, ঝরনা, চা-বাগান, শতাব্দীপ্রাচীন বনবাংলো এবং অতিথিবৎসল স্থানীয় মানুষজনের আন্তরিক ব্যবহার, সব মিলিয়ে ডুয়ার্স সম্পূর্ণ এক অন্য ভুবন। যার তুলনা মেলা ভার।



পশ্চিম ডুয়ার্স বেড়াতে হলে প্রথমে রেলপথে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন স্টেশনে আসতে হবে। হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন থেকে প্রচুর ট্রেন রয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শিলিগুড়ির মিত্তল বাসস্ট্যান্ডে গেলেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। যাঁরা গাড়ি ভাড়া করে ডুয়ার্স বেড়াতে আগ্রহী, তাঁদের পক্ষেও শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করাই ভালো।



মংপং
পশ্চিম ডুয়ার্সের প্রথম পর্যটনকেন্দ্রটি হলো মংপং। শিলিগুড়ি শহর থেকে দূরত ২৯ কিলোমিটার।

শিলিগুড়ি থেকে মংপং যাওয়ার পথে পড়বে বিখ্যাত সেবকেশ্বরী কালীবাড়ি এবং কালীবাড়ির অদূরে অবস্থিত করোনেশন ব্রিজের ওপর দিয়ে তিস্তা নদী অতিক্রম করতে হবে।

তিস্তা নদী পার হওয়ার পর বেশ কিছুটা পথ ‘বানর কুলের নিয়ন্ত্রণে’ বললে ভুল বলা হবে না। এই পথে একটি সুন্দর ভিউ পয়েন্ট আছে- কিন্তু বানরদের অত্যাচার সহ্য করে কার সাধ্য ভিউ পয়েন্টে গিয়ে তিস্তা নদীর শোভা দেখা।

জনবিরল মংপংয়ে প্রকৃতিই প্রধান আকর্ষণ। ভোরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে তিস্তা নদীর ধারে যেতে বেশ লাগবে। চোখে পড়বে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর কানে আসবে তাদের বৃন্দগান।

কোথায় থাকবেন মংপংয়ে থাকার জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের চারটি কটেজ। সাধারণ কটেজের ভাড়া এক হাজার টাকা এবং বাতানুকূল ঘরের ভাড়া ১২৬০ টাকা। বাংলোর প্রাঙ্গণে গিয়ে দাঁড়ালে চোখে পড়ে তিস্তা নদীর পাহাড় থেকে নেমে সমতলে বয়ে চলা। বাংলোর অদূরেই রেললাইন চলে গিয়েছে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার।

অগ্রিম ঘর বুকিংয়ের জন্য এ ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম : ৬এ, রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার (৪র্থ তলা) কলকাতা-৭০০ ০১৩,  ২২৩৭-০০৬০/ ০০৬১।

মালবাজার
কলকাতার দিক থেকে মালবাজার যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে নিউমাল স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া। এই ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ৪টা ৩০ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নিউ মাল স্টেশনে পৌঁছায়।

স্টেশন থেকে মালবাজার শহরের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরবর্তী মালবাজার যাওয়ার জন্য বাসের অভাব নেই।

মহকুমা শহর মালবাজারের জমজমাট বাজার এলাকা ছাড়িয়ে বেরিয়ে এলেই চোখে পড়বে চা-বাগানের অপরূপ বিস্তার আর দূরের পাহাড়। মালবাজারের প্রধান আকর্ষণ হলো মাল উদ্যান।

অনেকটা জায়গা নিয়ে বনদপ্তরের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই উদ্যান। এখানে চোখে পড়বে বেশ কিছু বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ফুলগাছ। যাঁদের বাগানের শখ আছে তাঁরা এখান থেকে ছোট ছোট টবে বসানো বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছের চারাও কিনতে পারেন।

কোথায় থাকবেন
মালবাজারে রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের ট্যুরিস্ট লজ। লজের ছাদে চেয়ার নিয়ে বসলে শুধু পাখি দেখেই সময় কেটে যাবে। কারণ লজের পাশেই রয়েছে বড় বড় গাছপালা আর চা-বাগান।

মালবাজার ট্যুরিস্ট লজের ভোজনশালাটির বেশ সুনাম আছে। মালবাজারের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই এখানে চলে আসেন ভালো খাবারের আকর্ষণে।
মালবাজার লজে দ্বিশয্যাবিশিষ্ট ঘরের ভাড়া শুরু হয়েছে ৫০০ টাকা থেকে।

গরুমারা জাতীয় উদ্যান
গরুমারা জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৯৮ বর্গকিলোমিটার হলেও এই অরণ্যের উদ্ভিদ এবং জীববৈচিত্র্য সত্যিই বিস্ময়কর। গরুমারার জঙ্গলে রয়েছে বুনো হাতি, গন্ডার, গাউর বা ভারতীয় বাইসন, চিতল, সম্বর, বার্কিং ডিয়ার, বুনো শুয়োর, বনবিড়াল, চিতাবাঘ, শিয়াল এবং বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ ও পাখি।

শিলিগুড়ি বা মালবাজার থেকে গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক দেখতে হলে প্রথমে লাটাগুড়ি শহরে আসতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে লাটাগুড়ির দূরত ৮০ কিলোমিটার আর মালবাজার থেকে দূরত ২৫ কিলোমিটার।

এছাড়া রেলপথে নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে নেমেও লাটাগুড়ি আসা যায়, দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার।

গরুমারা জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য ডে-ভিজিট পাস সংগ্রহ করতে হবে লাটাগুড়িতে অবস্থিত বনদপ্তরের নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার থেকে।

জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি মেলে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৪টা, সকাল সাড়ে ৪টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা আর দুপুর ১টা থেকে বেলা ৩টা এবং বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা। ডে-ভিজিট পাস ইস্যু করা আরম্ভ হয় দিনে দুবার। সকালের শিফটের পাস দেওয়া হয় দিনে দুবার।

সকালের শিফটের পাস দেওয়া শুরু হয় ভোর সাড়ে ৫টা আর দুপুরের শিফটের পাস দেওয়া আরম্ভ হয় বেলা ১২টা থেকে। পাস সংগ্রহের সময় জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য মাথাপিছু অ্যান্ট্রি ফি, গাড়ির প্রবেশমূল্য এবং গাইডের ফি জমা দিতে হয়।

শুধু গরুমারাই নয়, ডে-ভিজিট পাস ইস্যু করা হয় চাপড়ামারির জঙ্গল এবং বেশ কয়েকটি ওয়াচটাওয়ারের জন্য। সমস্যা হলো প্রতি শিফটে মাত্র ২৫ জন পর্যটককে একেকটি জঙ্গল বা ওয়াচটাওয়ারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

এর ফলে ভরা মরসুমে, বিশেষ করে পুজোর সময় ডে-ভিজিট পাস সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে বনভ্রমণ সুনিশ্চিত করতে বেশির ভাগ পর্যটক লাটাগুড়ি শহরে রাত্রিবাস করেন।

লাটাগুড়ি থেকে চালসার দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার যাওয়ার পর পথের ডান দিকে চোখে পড়বে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথ। এখানেই চেকপোস্টে অনুমতিপত্র পরীক্ষা করে পর্যটকদের সঙ্গে একজন করে গাইড দেওয়া হয়।

চেকপোস্ট থেকে গরুমারা বনবাংলো-সংলগ্ন রাইনো পয়েন্ট প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। এই বনপথ ধরে যাওয়াটাই এক দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কপাল ভালো হলে এই পথেই দেখা হয়ে যেতে পারে একাধিক বন্যজন্তুর সঙ্গে।

বন্য প্রাণী দর্শনের জন্য রাইনো পয়েন্ট এবং কিছু দূরে অবস্থিত যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচটাওয়ার বেশ ভালো জায়গা। আর কিছু না হোক, গন্ডার, বাইসন, বুনো শুয়োর, ময়ূর এবং একাধিক প্রজাতির হরিণের দর্শন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লাটাগুড়িতে কোথায় থাকবেন  
লাটাগুড়িতে এখন হোটেলের ছড়াছড়ি। এদের মধ্যে কয়েকটির নাম নিচে দেওয়া হলো। ভরা পর্যটন মরসুমে বেশির ভাগ হোটেলের ভাড়াই ওঠানামা করে। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নেওয়াই ভালো। হোটেল গ্রিন লেগুন ( ২০৩১৭৭), হোটেল বনবিতান ( ৯৪৩৩৩-২১৯৫০, ৯৪৭৭১-৫২৬৬৪), রোজ ভ্যালি রিসর্ট ( ৯৮৩১৩-৯৯৯৮৮, ৯৮৩১৫-৯৯৯৮৮), পঞ্চবটী রিসর্টস ( ২৬৬২৮৪), হোটেল ডাইনেস্টি (৯৮৩০২-৬৪৭৯২), গ্রিন ভিউ হোটেল ( ২৬৬২৫৮), লেক ভিউ রিসর্ট।


Saturday, July 25, 2020

Shree Vakratunda Mahakaya

Shree Vakratunda Mahakaya

श्री वक्रतुण्ड महाकाय सूर्य कोटी समप्रभा।
निर्विघ्नं कुरु मे देव सर्व-कार्येशु सर्वदा॥

Shree Vakratunda Mahakaya Suryakoti Samaprabha।
Nirvighnam Kuru Me Deva Sarva-Kaaryeshu Sarvada॥

om namah shivaya lyrics

Om Namah Shivaya



Om Namah Shivaya Om Namah Shivaya Hara Hara Bole Namah Shivaya
Rameshwara Shiva Rameshwara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Ganga Dhara Shiva Ganga Dhara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Jatadhara Shiva Jatadhara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Someshwara Shiva Someshwara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Vishweshvara Shiva Vishweshvara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Koteshwara Shiva Koteshwara Hara Hara Bole Namah Shivaya
Mahakaleshvara Hara Hara Bole Namah Shivaya

Saturday, July 11, 2020

chiken biriyani

রিয়ানি 
উপকরণঃ মুরগির মাংসের ৮ টি বড় টুকরো, বাসমতি চাল – ১ কেজি , গোলমরিচ – ৫ টি, টকদই – ১ কাপ , আদা, রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ করে , এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ করে , লংকা গুড়ো – ১ চা চামচ , পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ , টমেটো – ২ টি (টুকরো করা) , গরম মশলা গুড়ো  – ১ চা চামচ , বিরিয়ানি মশলা – ১ চা চামচ , গোলমরিচ গুড়ো – ১/২ চা চামচ , মেথি – ১/২ চা চামচ , লেবুর রস – ২ টেবিল চামচ , কাঁচালংকা – ৫ টি (কুচি) , পুদিনা পাতা কুচি – ১ টেবিল , ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ , দুধ – ১/২ কাপ (জাফরান মিশানো) , লবণ – পরিমাণমতো , তেল – ১ কাপ , ঘি – ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালিঃ  চাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে আস্ত গরম মশলা ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করুন । মুরগির মাংস, টকদই, হলুদ, ধনে, জিরা গুড়ো, মরিচ গুড়ো, আদা, রসুন বাটা একত্রে মেখে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন । তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে টমেটো দিয়ে ভুনে নিন । এবার ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে কষিয়ে নিন । প্রায় সিদ্ধ হয়ে গেলে লেবুর রস, মেথি, গোলমরিচ গুড়ো, গরম মশলা গুড়ো, বিরিয়ানি মশলা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করুন । জল শুকিয়ে তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন । এবার একটি বড় পাত্রে প্রথমে রান্না করা মাংস, তার উপর সিদ্ধ চাল, কাঁচালঙ্কা, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা কুচি দিয়ে পুনরায় এভাবে আরেকটি লেয়ার করে তার উপর দুধ, ঘি ও লবণ ছিটিয়ে দিয়ে ভালো করে ঢেকে ৩০ মিনিট পর  নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন ।

Friday, July 3, 2020

পশ্চিমবঙ্গের পরিচিত মাছগুলোর নাম চিত্রসহ জানাতে পারেন কি?

। রুই মাছ:

২। কাতলা মাছ

৩। ইলিশ মাছ

৪। ভেটকি মাছ

৫। গলদা চিংড়ি

৬। বাগদা চিংড়ি

৭। চাপড়া চিংড়ি

৮। কৈ মাছ

৯। তেলাপিয়া মাছ

১০। পুঁটি মাছ

১১। মৌরলা মাছ

১২। ট্যাংরা মাছ

১৩। পমফ্রেট মাছ

১৪। শিঙি মাছ

১৫। মাগুর মাছ

১৬। ভোলাভেটকি মাছ

১৭। বোয়াল মাছ

১৮। পাবদা মাছ

১৯। শোল মাছ

২০। শংকর মাছ

২১। বেলে মাছ

২২। কুঁচে মাছ

২৩। লৈট্যা মাছ

২৪। সরপুঁটি মাছ

২৫। মৃগেল মাছ

২৬। বাটা মাছ

২৭। পারশে মাছ

২৮। ফলি মাছ

২৯। চাঁদা মাছ

৩০। তোপসে মাছ

৩১। কাজলি মাছ

৩২। কাঁকিলা মাছ

৩৩। গুর্জারি মাছ

৩৪। চিতল মাছ

৩৫। পাঁকাল মাছ

৩৬। কালবোস মাছ

৩৭। বোরোলী মাছ

৩৮। মেনি মাছ বা ন্যাদোস মাছ

৩৯। খোলসে মাছ

৪০। পাংগাস মাছ

( ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত )

Thursday, June 18, 2020

নিমকি

·       Flour -1 small cup (I used tea cup)
·       Wheat flour (Atta) -1 cup.
·       Corn flour – heaped 2 tsp.
·       White oil /Ghee -2 ½ tbsp.
·       Water –as required to make a dough (I required little less than ½ cup
(Dough will not be much hard or soft)
·       Salt -1/4 tsp.
For sugar syrup:
·       Sugar -1 cup.(I used measurement cup)
·       Water -1/2 cup.

Method:
·       Take a container and mix flour, wheat flour, salt. Mix well.
·       Add oil/ghee (I used white oil) to flour atta mixture and mix well.
(After mixing ,for testing just take some amount of flour mix into your palm and close your palm once . you will notice ,the amount of flour mix that you took into your palm will remain binding itself and will not fall apart, then have to understand ”Moyam” is ready for Nimki.)


·       Pour water slowly and make soft dough by kneading well.
·       Make sure that you keep the prepared dough Covered and take oil in kadai for deep frying Nimki.
·       Divide four small and moderately equal dough balls from the prepared dough which was kept previously.

·       Use a rolling pin to flatten each ball like a round roti. Don’t flatten too much.
·       Spread little amount of flour over the base and also at bottom of flatten dough before cutting into square shaped.
(It helps to separate each square from other and prevent sticking.)

·       Now cut into small squares with knife or pizza cutter and fry these into hot oil. When fry don’t keep the flame always high.


·       Keep fried fresh Nimki apart.
·       Finally for sugar syrup take a pan .Add water and sugar. Let’s it boil. Sugar will dissolve very quickly. Don’t remove from heat; allow the syrup for boil at medium high heat for another 6-7 minutes to thick.

·       Now sink a spoon and pull it out from pan .If the syrup stick to the spoon it is ready. Don’t boil further otherwise it will solidify.



·       Quickly remove from heat and carefully add fresh fried Nimki to syrup. Mix gently and cool it.

·       That’s it, it is done , keep it in an airtight container after it cool down.


Wednesday, June 17, 2020

মালাই কোফতা

উপকরণ:

১. সেদ্ধ আলু(৪টি বড়)

২. ২ টুকরো পাঁউরুটি

৩. বাদাম তেল

৪. পুরের জন্য আধ কাপ ছানা, আধ কাপ খোয়া, এক কাপ সেদ্ধ ফরাস বীন, গাজর ও মটরশুঁটি, আধ চামচ কুচোনো আদা, ২টো কুচোনো কাঁচালঙ্কা, ১ চামচ কুচোনো ধনেপাতা, এক চিমটে গরম মশলার গুঁড়ো ও আন্দাজমতো নুন।

৫. ঝোলের জন্য ২টি পেঁয়াজ, ৪ কোয়া রসুন, ৩ চামচ ঘি, ১ চামচ হলুদ,১ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চামচ ধনে গুঁড়ো,৪টি ছোটএলাচ, ৪টি লবঙ্গ,১০ টি গোল মরিচ, পৌনে এক কাপ টক দই, দেড় কাপ জল, ১ চামচ নুন, আধ চামচ চিনি, ১ চামচ বেসন, ১ ইঞ্চি কুচোনো আদা, ৪ টি কুচোনো কাঁচালঙ্কা, আধ কাপ ক্রিম ও ১ চামচ কেওড়ার জল।

প্রণালী:মালাইকোপ্তা

১. সেদ্ধ আলু চটকে নিন। তাতে পাঁউরুটি কুচিয়ে বেশ করে মেশান।

২. মিশ্রণটি ১৬ ভাগে ভাগ করুন।

৩. পুরের জন্য সমস্ত উপকরণগুলি একটি পাত্রে একসাথে চটকে মেখে একটি মিশ্রণতৈরী করতে হবে।সেই মিশ্রণটিকে ১৬ ভাগে ভাগ করুন।

৪. আলুর ভেতর পুর ভরে বলের মতো তৈরী করে বাদাম তেলে সোনালী করে ভেজে তুলুন ।

৫. ঝোলের জন্য কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন বাটা হাল্কা করে ভেজে আস্ত গরম মশলা, হলুদ, ধনে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে একটু ভাজুন।

৬. এবার কড়াইয়ে আদা ও কুচোনো কাঁচালঙ্কা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন।একটি পাত্রে টক দই, বেসন, নুন ও চিনি মিশিয়ে কড়াইয়ে ঢেলে দিন।

৭. কড়াইয়ে জল দিয়ে খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নামান।

৮. সবশেষে ক্রিম ও কেওড়ার জল মেশান।

৯. কোপ্তার ওপর ঝোলটি ঢেলে খেতে দিন।

করলা কোফতা

উপকরণ:
১. বড় বড় মাপের করলা ৪-৫টি
২. জিরেবাটা ১ চামচ
৩. আদাবাটা ১ চামচ
৪. ধনেবাটা ১/২ চামচ
৫. মৌরিবাটা ১/২ চামচ
৬. আমচুর ১চা-চামচ
৭. সরষের তেল ১০০ গ্রাম
৮. ঘি ১ চামচ
৯. গুঁড়োলঙ্কা ১চা-চামচ
১০. গরমমশলা ১ চা-চামচ
১১. হিং ১ চিমটা

প্রণালী:

১. বড় বড় মাপের করলাগুলির গা ছেঁটে সমান করে নিন।

২. তারপর করলাগুলির লম্বাভাবে পেটের এক দিকটা চিরে সমস্ত দানা বার করে নিতে হবে।

৩. এবার করলাগুলির ভিতরের শাঁসটা কের করে বাটতে হবে।

৪. কড়াইয়ে তেল গরম হলে হিং ফোড়ন দিয়ে করলাগুলির শাঁসবাটা, জিরেবাটা, আদাবাটা, ধনেবাটা, নুন, মৌরিবাটা, আমচুর, গুঁড়োলঙ্কা, গরমমশলা ও ঘি দিয়ে ভালো করে কষে নিলেই পুর তৈরী।

৫. এরপর করলাগুলির খোলের মধ্যে পুর ঢুকিয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে দিন।

৬. এরপর কড়াইয়ে অনেকটা তেল গরম হলে পুর ভরা করলাগুলিকে ভালো করে লাল লাল করে ভেজে তুললেই করলার কোপ্তা তৈরী।

৭. গরম গরম ভাতের সাথে করলার কোপ্তা পরিবেশন করুন।

চিংড়ি ধোঁকা

খোসা ছাড়ানো চিংড়ী ২৫০ গ্রাম (বাটা)

ছোলার ডাল ২৫০ গ্রাম (ভিজিয়ে বেটে রাখতে হবে)

আলু ২ টি (টুকরো করা)

আদা বাটা ১ চামচ

জিরে গুঁড়ো ১ চামচ

বাটা গরম মশলা ১ চামচ

ঘি ১ চামচ

কাঁচালঙ্কা ২-৩ টি

টমেটো ১টি

হলুদ, নুন, সরষের তেল পরিমাণমতো

প্রণালী:

প্রথমে ডাল বাটা ও চিংড়ি মাছ বাটা ভাল করে নুন মিশিয়ে মেখে নিন। তারপর কড়াতে তেল গরম করে মাখাটা দিয়ে ভাল করে শুকনো করে নিন। একটা থালায় ঢেলে সমান করে নিন। ধোঁকার আকারে কেটে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা একটা করে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলুন। এবার পাত্রে তেল গরম করে আলুগুলো নুন ও হলুদ মাখিয়ে লাল করে ভেজে তুলে নিন। ঐ তেলে টমেটো কুচি দিন। আদা, জিরে গুঁড়ো, হলুদ, ও নুন দিয়ে কষে নিন যতক্ষণ না তেল ছাড়ে। আলুর টুকরো গুলি ছাড়ুন। সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে ধোঁকার টুকরোগুলি দিয়ে দিন। একটু ফুটে গেলে কাঁচালঙ্কা ও বাটা গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন।

রকমারি কোফতা

উপকরনঃ

৪ টা সিদ্ধ আলু

১ ১/২ কাপ লাল বাধাকপি কুচি

১ টা মাঝারি পেঁয়াজ কুচি

২-৩ টা কাঁচা মরিচ কুচি

১/২ চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া

১/২ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া

১/৪ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়া ( ঐচ্ছিক )

১/২ চা চামচ আমচুর পাউডার ( শুকনো আমের গুঁড়া )

১ টেবিল চামচ ধনিয়া পাতা কুচি

লবন স্বাদ অনুযায়ী

তেল হালকা ভাজার জন্য ( Shallow frying )

প্রনালিঃ

একটি পাত্রে তেল ছাড়া সব ভালমত মাখিয়ে নিতে হবে। নিজের ইচ্ছামত আকার দিয়ে চপ বানিয়ে নিতে হবে।
একটি প্যানে অল্প তেল গরম করে হালকা করে ভেজে নিতে হবে ( shallow fry )। এরপর পরিবেশন করুন সস দিয়ে।


উপকরণ:

পালং শাক কুচানো ২ কাপ

বেসন ৩-৪ কাপ

রসুন বাটা ১/২ ছোট চামচ

নুন ২ ছোট চামচ

কাঁচা লংকা ২ টি কুচানো

লংকা গুঁড়ো ১/২ ছোট চামচ

গোলমরিচ গুঁড়ো ১/২ ছোট চামচ

চিজ ২ চামচ কোরা

দুধ ২ কাপ

ময়দা ১ বড়ো চামচ

সাদা তেল ভাজার জন্য প্রয়োজনমতো

মাখন ১ চামচ

প্রণালী:

তেল গরম করুন। কুচনো পালং-এর সঙ্গে বেসন, রসুন, নুন, লংকা গুঁড়ো মিশিয়ে বল তৈরি করে নিন।গরম তেলে কড়া করে ভেজে নিন বলগুলি। কড়ায় মাখন গরম করে ময়দা ভাজুন। ধীরে ধীরে দুধ ঢালুন। গ্রেভি তৈরি হলে নুন, গোলমরিচ, চিজ দিন। একটি প্লেটে এই বলস রেখে তার ওপর গ্রেভি ঢেলে দিন। কাঁচা লংকা কুচি ছড়িয়ে নান বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।


উপকরন:

কড়াইশুঁটি ১০০ গ্রাম

আলুসেদ্ধ মাঝারি ১ টা

কাঁচালঙ্কা ২ টি

চিনি ১ চামচ

নুন স্বাদমতো

ধনেপাতা কুচি ২ চামচ

গরম মশলা ১ চামচ

বেসন ১ টেবিল চামচ

কর্নফ্লাওয়ার ২ চামচ

লেবুর রস ১ চামচ

সরষের তেল প্রয়োজনমতো

জিরে ১/২ চামচ

টমেটো বাটা ২ টেবিল চামচ

দই ২ চামচ

নুন স্বাদমতো

জিরে গুঁড়ো ১ চামচ

মৌরি গুঁড়ো ১ চামচ

আদা বাটা ১ চামচ

লল্কা গুঁড়ো ১ চামচ

তেজপাতা ২ টি

কাজু-পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ

কচি কড়াইশুঁটি ১/২ কাপ

নারকেল দুধ ১/২ কাপ

ঘি ১ চামচ

গরম মশলা ১ চামচ

তেজপাতা ১ টি

ধনেপাতা কুচানো ১/২ কাপ

প্রণালী:

কোপ্তা:

কড়াইশুঁটি ২টো লঙ্কা দিয়ে বেটে নিন। আলু সেদ্ধ, নুন, ১ চিমটে চিনি, ধনেপাতা, গরম মশলা, লেবুর রস, বেসন ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। ননস্টিক প্যানে অল্প তেলে দু পিঠ ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

গ্রেভি:

এক টেবিল চামচ সরষের তেলে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। সঙ্গে সঙ্গে নুন, চিনি, লঙ্কা গুড়ো, দই, টমেটো বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। আদা বাটা, জিরে-মৌরি গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিন। কাজু-পোস্ত বাটা দিয়ে একটু নেড়ে কড়াইশুঁটি, তেজপাতা আর পরিমানমতো জল দিয়ে ফোটাতে হবে। ঘন ভাব হলে নারকেল দুধ দিয়ে নেড়ে ঘি, ধনেপাতা কুচানো, গরম মশলা ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামাতে হবে। কোপ্তাগুলো একটা থালায় সাজিয়ে গ্রেভিটা ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে পরিবেশন করুন।


মাটন কিমা ৫০০ গ্রাম

ডিম ৫ টা

পেঁয়াজ বাটা ৪ চামচ

পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভাজা ২টি বড়

রসুন বাটা ১ চামচ

আদা বাটা ১ চামচ

জিরে গুঁড়ো ১ চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চামচ

বেসন ১২৫ গ্রাম

লাললঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চামচ

নুন স্বাদমতো

দই ৫০০ গ্রাম

ঘি ও নুন পরিমাণমতো

বড় এলাচ গুঁড়ো ১/২ চামচ

গোলমরিচ গুঁড়ো ১/২ চামচ

কেওড়ার জল ২ টেবিল চামচ

কাঁচালঙ্কা কুচি ও ধনেপাতা কুচি আধ কাপ

টমেটো ১টি (ছোট চৌকো করে কাটা)

টমেটো পিউরি ১ কাপ

পদ্ধতি:

ডিম সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে আলাদা রেখে দিন। একটা পেঁয়াজ লাল করে ভেজে দইয়ের সঙ্গে দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। অর্ধেক আদা-রসুন আর পেঁয়াজ বাটা, বেসন, বড় এলাচ গুঁড়ো, নুন, কাঁচালঙ্কা কুচি, লাললঙ্কা গুঁড়ো , নিয়ে কিমার সঙ্গে ভাল করে মাখিয়ে নিন। সেদ্ধ ডিম গুলি অর্ধেকটা করে নিন। কিমার মিশ্রণ ডিমের গায়ে লাগিয়ে কাবাব আকারে গড়ুন। একটা ফ্রাইংপ্যানে ঘি গরম করে কাবাবগুলো ভেজে তুলুন। অন্য একটা পাত্রে ঘি গরম করে তাতে টমেটো দিন। পেঁয়াজ-আদা-রসুন বাটা, টকদই, লাললঙ্কা আর নুন দিন। মশলা ভালো তরে কষুন। এবার এতে মেশান কেওড়ার জল। আঁচ থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে এই মিশ্রণটা ঢালুন। এর উপর কাঁচালঙ্কা কুচি,গরম মশলা গুঁড়ো ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে কাবাবগুলো রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।


উপকরন:

২০০ গ্রাম ছানা

১/৩ কাপ টক দই

৪টে ছোটো আলু

এক ছড়া কারিপাতা

তেজপাতা ২টি

২টো কাঁচা লংকা

১/৪চা চামচ লংকা গুড়ো

হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ

আদা বাটা ১ চামচ

১চা চামচ ধনে-জিরে-মরিচ গুড়ো

১চা চামচ তেল

ঘি ২ চামচ

১কাপ ধনেপাতা কুচি

আন্দাজমতো নুন।

প্রণালী:

টক দই ফেটিয়ে রাখুন। আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিয়ে হাল্কা সোনালী করে ভেজে নিন। ছানা থেকে জল বের করে ছোটো ছোটো বলের আকারে গড়ে ঘিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। একটা নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিন। ফোড়ন হলে আলু ও সব মশলা দিয়ে নাড়ুন। কারিপাতা,কাঁচা লংকা,ছানা ও নুন দিন। ওপর থেকে ফেটানো টক দই দিয়ে একটু জল দেবেন। ফুটবে খানিকটা। গা মাখাও করতে পারেন,আবার ইচ্ছেমতো ঝোল রাখতে পারেন। ওপরে ধনেপাতা কুচি  ছড়িয়ে দিন। ভাত রুটি সবের সঙ্গেই ভালো লাগে।



ছোলা দিয়ে ঢেঁড়শ

ঢেঁড়স ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
টমেটো কুচি ১টা
কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টি
জিরে গুঁড়ো ১ চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো  ১চামচ
আমচুর পাউডার ১চামচ
কাবলি ছোলা সেদ্ধ ১ কাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো ১চামচ
নুন ও সরষের তেল আন্দাজমতো

প্রণালী:

প্রথমে পাত্রে তেল গরম করে ঢেঁড়স, টমেটো ও পেঁয়াজ কুচি গুলি লাল করে ভেজে নিন। এরপর সেদ্ধ কাবলি ছোলা দিয়ে দিন। একটু ভাজা ভাজা করে নিয়ে সমস্ত মশলা দিয়ে কষে নিন। গোলমরিচ গুঁড়ো  ও নুন দিয়ে নামিয়ে নিন । রুটি বা পরোটার সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ঢেঁড়শ পোস্ত

উপকরণ :

ঢেঁড়স – ২০ টি
পেঁয়াজ কুচি – ১ টি
রসুন -৪/৫ কোয়া কুচি করা
পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ
সরষে বাটা ১ চা চামচ
কাচা মরিচ ফালি – ৫/৬ টি
নুন – স্বাদমত
চিনি – ১ চা চামচ
সরষের তেল – ১ টেবিল চামচ

প্রণালী :

ঢেঁড়স ধুয়ে নিয়ে বোটা ফেলে দিন টুকরা করার প্রয়োজন নেই। এইবার কড়াইতে তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে একটু ভেজে এতে ঢেঁড়স দিয়ে দিন ২/৩ মিনিট ভাজুন তারপর এতে পোস্ত বাটা , সরষে বাটা আর নুন দিয়ে অল্প একটু জল দিয়ে ৫/৬ মিনিট রান্না করুন। ঢেঁড়স সেদ্ধ হয়ে একটু মাখা মাখা হবে এতে চিনি আর কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো ২/৩ মিনিট রান্না করুন। ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

hand sanitizer


How to make a hand sanitizer – a recipe issued and approved by the WHO (World Health Organization)

Ingredients required:

  • 833 ml ethanol (96%)
  • 42 ml of hydrogen peroxide
  • 5 ml glycerin
  • 1 L of cooled boiled water

Preparation:

  1. First put the ethanol in a plastic container.
  2. Then pour the oxygenated water and the glycerin / glycerol.
  3. Add the distilled water at the end, mix well and pour into bottles.

Important Note: Let the gel sit for 72 hours before using, otherwise you cannot expect it to be effective.

Antibacterial gel – the WHO recipe

woman spraying antibacterial gel on her hand, wearing black blouse, hand sanitizerZUR FOTOSTRECKE

How to make a natural hand sanitizer with essential oils

Necessary ingredients:

  • 3/4 cup alcohol (99%)
  • 1/4 cup aloe vera gel
  • 10 drops of essential oil (such as lavender or tea tree)

An antibacterial gel recipe with 3 simple ingredients

bouquet of lavender, two small bottle of essential oil, hand sanitizer, large plastic spray bottleZUR FOTOSTRECKE

Important note:

The goal is to keep the alcohol concentration at 60% minimum, so the alcohol: aloe vera ratio should be 2: 1.

The steps to make your own antibacterial gel:

  1. Pour all the ingredients into a bowl, preferably using a measuring cup.
  2. Mix with a spoon and then whisk until you get a gel consistency.
  3. Pour the substance in an empty bottle and decorate with an antibacterial gel label.

Aloe, alcohol and lavender essential oil – just minutes 


Tuesday, June 16, 2020

masala

10 Homemade Masala Recipes that Will Make Your Cooking Flavoursome!



1.   Garam Masala

Recipe by Chef Niru Gupta

Garam Masalas can enhance the flavour of the food

Ingredients

150 gm cumin seeds
50 gm black cardamom seeds
25 gm cinnamon
25 gm cloves
25 gm peppercorns
4 bay leaves

  1. Sun all ingredients or place them over an oven to rid them of any moisture. 
  2. Then grind them to a powder in a food processor. 
  3. Store in an airtight jar.


 2.  Chole Masala

Recipe by Chef Niru Gupta

Store the masala in an airtight container Photo Credit: Facebook/Homemade

Ingredients

1/3 cup powdered amchoor
1/4 cup powdered anardana
1 cup garam masala
3/4 cup powdered coriander seeds
2 Tbsp powdered red chillies
1/2 cup powdered sonth
1 3/4 cup salt

Method
Mix all ingredients well Store in an airtight container



3.  Biryani Masala

Recipe by Chef Niru Gupta

Dry roast all ingredients of masala Photo Credit: Facebook/Mycookbook

Ingredients
60 corns all spice
4 whole star anise
16 green cardamoms
4 whole flowers of mace
1 whole nutmeg

Method

Dry roast all ingredient Cool and powder Store in an air tight container


4.  Chaat Masala

Recipe by Chef Niru Gupta
Roast the coriander, cumin and ajwain for chaat masla Photo Credit: facebook/KhanaPakana.com

Ingredients

1 cup coriander seeds
1 1/4 cups cumin seeds
1/2 cup thymol seeds/ ajwain
1/2 cup mango powder
2 1/2 tsp garam masala
1 1/4 cups powdered black rock salt
4 tsp powdered black pepper
2 tsp (approx) citric acid
1/2 cup dried and powdered mint leaves

Method

  1. Roast the coriander, cumin and ajwain in a heavy-based pan till dark brown
  2. Remove from pan and leave to cool
  3. Put all the ingredients together and powder fine, in a processor
  4. Store in an air tight container



5.  Tandoori Masala

Recipe by Chef Niru Gupta

Mix all the ingredients well Facebook/Vagonlovile

Ingredients

1/4 cup dried, powdered ginger
1/4 cup dried, powdered garlic
2 Tbsp black pepper
2 Tbsp chaat masala
1/4 cup garam masala
1/4 cup powdered red pepper
1/4 cup kasoori methi
3/4 cup salt
1/4 cup dried, powdered onion
1 tsp powdered red colour (optional)

Method

Mix all the ingredients, blend in a blender and store in air tight container.



6.  Pav Bhaji Masala

Recipe by Chef Siddharth Talwar
Store in an airtight container Photo Credit: Facebook/Blend with Spices

Ingredients

7 whole red dry chili
4 tbsp coriander seeds
2 tbsp cumin seeds
1/4 tbsp black pepper
1/2 inch cinnamon sticks
3 cloves
4-5 black cardamom
2 tbsp dry mango powder
1 tbsp fennel seeds
½ tbsp sugar powder

Method:

  1. In a pan, dry roast all the ingredients (except for dry mango powder and suger) till it they golden brown on a low medium flame.
  2. Roast for a few minutes (till some nice aroma is released). Then add the dry mango powder and roast for a minute. Switch off the flame cool and add sugar powder and mix well.
  3. Once the mixture cools down completely, grind it to a fine powder in a mixer.
  4. Store in an airtight container.


7. Chicken Masala 

Recipe by Chef Siddharth Talwar

Chicken Masala should blend properly Photo Credit: Facebook/ Yummy Tummy

Ingredients

1 tsp turmeric 
12 pieces cloves 
1/2 tsp nutmeg 
1/2 tsp mace 
15 pieces dried plums 
1 tbs red chilli powder 
10 pieces green cardamom 
4 tbs coriander powder
1 tbs salt 
12 pieces black pepper corns 
4tbs deghi mirch

Whole Spices to Grind

2 large pieces cinnamon sticks
2 tbs white cumin seeds 
15 pieces green cardamom 
5 pieces star anise 
1 tbs black cumin seeds 
1 tbs black pepper corns 
1/2tbs cloves 
4 bay leaves 

Method

Add all the whole spices and grind to make powder, then add the grinned powder to the powder spices and mix well. store in air tight jars.


8. Sambhar Masala

Recipe by Chef Siddharth Talwar

Mix all the spices well and store it in an air tight container Photo Credit: Facebook/Mycookbook
Ingredients

2 cups whole red pepper 
1 1/2 cups coriander seeds (dhania) 
2 Tbsp mustard seeds (sarson) 
3 Tbsp cumin seeds (jeera) 
4 tsp pepper corns (sabut kali mirch) 
2 Tbsp fenugreek seeds (methi dana) 
2 Tbsp husked split black gram (dhuli urad dal) 
2 Tbsp bengal gram (channa dal) 
2 Tbsp yellow lentils (arhar dal)
2 Tbsp rice 
2 Tbsp asafoetida (heeng) 
2 Tbsp turmeric powder (haldi) 
1/4 cup dried curry leaves (kadi patta)

Method

  1. Roast all the ingredients, except the turmeric powder, till very slightly colored. 
  2. Remove from the heat and cool, and grind to a powder and mix in the turmeric powder. 
  3. Store this masala in an airtight jar.


9. Gunpowder Masala

Recipe by Chef Siddharth Talwar

Grind Well all the masala Photo Credit: facebook/Delight Foods
Ingredients

1 cup - urad dal
1 cup - Channa dal
8 to 10 Red Chillies
1 tbsp - white sesame seeds 
(dry roasted)
1/2 tsp - Hing powder
2 to 3 pieces Tamarind
Small piece Jaggery (optional)
Salt to taste
1 tsp - oil

Method

  1. Roast the dals together in two teaspoons of oil, till golden brown.
  2. Add red chillies and roast for two minutes.
  3. Add the tamarind, hing powder, sesame seeds, jaggery and salt.
  4. Grind the mixture coarsely.
  5.  Store in an airtight container.
  6. Mix with sesame oil and eat with idlis and dosas.
  7.  Can be stored for two to three months.


10. Korma Masala 

Recipe by Chef Siddharth Talwar

Store the masala in an airtight container Photo Credit: facebook/ Keralas Creative Kitchen

Ingredients

1 tsp Cumin Seeds 
1 tsp  Whole Black Pepper 
2 tbsp  Coconut Powder 
½ tsp  Mace 
½ tsp Turmeric 
½ tsp Salt 
1-1/21 tsp Red Chili Powder
1 tsp Coriander Powder 1 tsp
6 Cardamom 
1 Bay Leaves 
½ tsp  Tartary 
Kewra Essence Few drops

Method

  1. Grind together cumin seeds, whole black pepper, coconut powder and Mace. 
  2. Shift in a bowl, add turmeric, salt, red chili powder, coriander powder, cardamoms, bay leaf, tartary along with few drops of kewra essence. Mix well.
  3. Pour into bottle. This masala is enough for 1 kg mutton and chicken korma.