Thursday, April 30, 2020

গীতা পড়লে ৫টি জিনিষ সম্পর্কে জানা যায়

হরে কৃষ্ণ,
       গীতা পড়লে ৫টি জিনিষ সম্পর্কে জানা যায়
      – ঈশ্বর,জীব,প্রকৃতি, কাল ও কর্ম ।

গীতাতে অর্জুনের ২০টি নাম আর কৃষ্ণের ৩৩টি নামের উল্লেখ করা হয়েছে । গীতা হচ্ছে সমস্ত শাস্ত্রের সারতিসার এমনকি গীতায় এমন কিছু আছে যা অন্যান্য কোন শাস্ত্রে পাওয়া যায় না । যেমন – ৫ম পুরুষার্থ মহাভারতের ভীষ্মপর্বের ২৫ থেকে ৪২ নং অধ্যায়ের এই ১৮ টি অধ্যায় হল ভগবদগীতা বা গীতোপনিষদ । গীতায় আছে ৭০০ শ্লোকের মধ্যে ----
ধৃতরাষ্ট্র বলেন ১টি শ্লোক,
সঞ্জয় বলেন ৪০টি শ্লোক,
অর্জুন বলেন ৮৫টি শ্লোক,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন ৫৭৪টি শ্লোক ।

 গীতার ১৮টি অধ্যায়ের মধ্যে --
প্রথম ৬টি অধ্যায়কে বলে কর্ম ষটক,
মাঝখানের ৬টি অধ্যায়কে বলে ভক্তি ষটক,
আর বাকি ৬টি অধ্যায়কে বলে জ্ঞান ষটক ।

 যদিও গীতার জ্ঞান ৫০০০ বছরেরও আগে বলেছিল কিন্তু ভগবান চতুর্থ অধ্যায় বলেছেন এই জ্ঞান তিনি এর আগেও বলেছেন, মহাভারতের শান্তিপর্বে (৩৪৮/৫২-৫২) গীতার ইতিহাস উল্লেখ আছে । তার মানে গীতা প্রথমে বলা হয় ১২,০৪,০০,০০০ বছর আগে, মানব সমাজে এই জ্ঞান প্রায় ২০,০০,০০০ বছর ধরে বর্তমান, কিন্তু কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেলে পুনরায় আবার তা অর্জুনকে দেন । গীতার মাহাত্ম্য অনেকে করে গেছেন তার মধ্যে শ্রীশঙ্করাচার্য, স্কন্দপুরাণ থেকে শ্রীল ব্যাসদেব, শ্রীবৈষ্ণবীয় তন্ত্রসারে গীতা মাহাত্ম্য আর আছে পদ্মপুরাণে দেবাদিদেব শিব কর্তৃক ১৮টি অধ্যায়ের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন ।

গীতাতে মাং এবং মামেব কথাটি বেশি আছে, যোগ শব্দটি আছে ৭৮ বার, যোগী আছে ২৮ বার আর যুক্ত আছে ৪৯ বার । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে মাত্র ৪০ মিনিটে এই গীতার জ্ঞান দেন । গীতার ২য় অধ্যায়কে বলা হয় গীতার সারাংশ । ভগবান যখন বিশ্বরূপ দেখান তখন কাল থেমে যায় । ভগবান শুধু যুদ্ধের আগেই গীতা বলেনি ১৮ দিন যুদ্ধের মাঝখানেও গীতা বলেছে ।

 জয় শ্রী কৃষ্ণ।।

No comments:

Post a Comment