Tuesday, May 12, 2020

শীতলা দেবীর পরিচয়

শীতলা দেবীর পরিচয়..........
===============================
শীতলা লৌকিক দেবী। শীতলা পুরাণে গৃহীত
হয়ে
পৌরাণিক দেবীতে পরিণত হয়েছেন।
সাধারণভাবে এ
দেবী বসন্ত রোগের জ্বালা নিবারণ করে
শীতল করেন
বলে শীতলা নামে পরিচিত হয়েছেন। বসন্ত ও
চর্মরোগ
থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে শীতলা পূজা
করা হয়।
দেবী শীতলাকে ঠাকুরানি জাগরণী,
করুণাময়ী, দয়াময়ী
প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হয়। শীতলা কুমারী,
মাতায়
কূলাকৃতির মুকুট এবং গর্দভের উপর উপবিষ্ট। গর্দভ
তাঁর
বাহন। স্কন্দপুরাণে শীতলা দেবী শ্বেতবর্ণা
ও দুহাত
বিশিষ্ট। তাঁর দুহাতে রয়েছে পূর্ণকুম্ভ ও
সম্মার্জনীধারণী। কথিত আছে সম্মার্জনীর
মাধ্যমে
তিনি অমৃতময় শীতল জল ছিটিয়ে রোগ, তাপ,
শোক দূর
করেন। কখনো কখনো তিনি নিমের পাতা বহন
করে
থাকেন। নিম রোগ প্রতিরোধকারী উদ্ভিদ।
শীতলা পূজা
সাধারণত শ্রাবণ মাসের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে
দেবী
শীতলার পূজা করা হয়। পূজামন্দিরে বা শীতলা
পূজার
নির্দিষ্ট স্থানে পুরোহিতের মাধ্যমে শীতলা
পূজা করা
হয়। পূজার পদ্ধতি অন্যান্য পূজার অনুরূপ হলেও এ
পূজার
সময় ঠাণ্ডা জাতীয় ফলের প্রয়োজন হয়।
পেঁপে,
নারিকেল, তরমুজ, কলা ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয়
উপকরণ
দেবীর উদ্দেশে সমর্পণ করা হয়। এ পূজায়
সকল শ্রেণির
ভক্ত অংশ্রহণ করে থাকে।
=================================
👉 পূজার প্রণাম মন্ত্র
ওঁ নমামি শীতলাং দেবীং রাসভস্থাং দিগম্বরীম্।
মার্জ্জনীকলসোপেতাং সূর্পালঙ্কৃতমস্তকাম্।
সরলার্থ :
গর্দভ বাহন মার্জনী (ঝাঁটা) ও কলস-হস্তা শীতলা
দেবীকে প্রণাম করি।
শীতলা পূজার গুরুত্ব
=================================
👉 ১. শীতলা দেবী বসন্ত রোগ থেকে
আমাদের মুক্ত
করে আমাদের শীতল করেন। এ কারণে তিনি
সকলের
কাছে সমাদৃত হয়েছেন।
👉 ২. দেবী শীতলাকে স্বাস্থ্যবিধি পালন বা
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দেবী বলা হয়। শীতলা
পূজার
মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য বিধি ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিষয়ে সচেতন হয়ে থাকি।
👉 ৩. দেবী শীতলার দুই হাতে রয়েছে
পূর্ণকুম্ভ ও
সম্মার্জনী। কথিত আছে সম্মার্জনীর মাধ্যমে
তিনি
অমৃতময় শীতল জল ছিটিয়ে রোগ, তাপ, শোক
দূর করে
শীতল করেন। আমরাও বসন্তে আক্রান্ত
রোগীদের সেবা
করে তাদের শীতল করব। শীতলা পূজার মধ্য
দিয়ে আমরা
এ ধরনের সেবামূলক কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ হই।
কখনো
কখনো তিনি নিমের পাতা বহন করে থাকেন। নিম
বৃক্ষ
রোগ প্রতিরোধকারী উদ্ভিদ। আমরা বাড়ির
অঙ্গিনায়
রোগ প্রতিরোধের জন্য নিম গাছ রোপণ
করতে পারি।

No comments:

Post a Comment