Monday, May 11, 2020

আলুর উপকার ও অপকার

আলুতে আছে প্রচুর শর্করা, যার ফলে একে
পুষ্টির দিক থেকে ভাত ও গমের সঙ্গে
তুলনা করা চলে। শর্করা ছাড়াও আলুতে
রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি কমপ্লেক্স ও
সি। এর খোসাতে ভিটামিন এ এর
পাশাপাশি আছে পটাশিয়াম, আয়রন,
অ্যান্টি-অক্সাইড, জিঙ্ক, ফসফরাস, ফলেট
ও ফাইবারসহ প্রচুর পরিমাণে
কার্বোহাইড্রেট। শর্করা জাতীয় খাবার
শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে, তাই
আলুও শক্তি যোগায়। এছাড়াও আলুতে থাকা
কুকোয়া মাইনাস নামক এক ধরণের
কেমিক্যাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ
ফাইবার যুক্ত খাবার হওয়ায় আলু হজম
শক্তিবর্ধকও বটে। এসবের পাশাপাশি আলু
মানসিক চাপ কমাতেও সক্ষম। এতে আছে
‘বি ৬’ যা মন ভালো রাখার দুটি মুখ্য
উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক
নিওট্রান্সমিটার গঠনে সহায়তা করে।
নিওট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে অনুভূতি আদান
প্রদান করে থাকে এবং মানসিক চাপ
কমিয়ে মন ভালো করতে সহায়তা করে।
আলুতে থাকা গ্লুকোজ, অক্সিজেন,
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এমিনো এসিড,
ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড- মস্তিষ্ক
সচল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয়
উপাদানগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
তবে এতকিছুর বাইরেও আলু খাবার কিছু
অপকারিতাও আছে। যেমন- মার্কিন
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গর্ভকালীন সময়
যে সব নারীরা বেশি আলু খান তাদের
ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তারা আরও জানান- সপ্তাহে পাঁচবারের
মতো প্রধান খাবার হিসেবে আলু খেলে
ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি
পায়। আলুতে থাকা স্টার্চ রক্তে চিনির
পরিমাণ হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়। যদিও
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সাধারণত সন্তান
প্রসবের পরপরই দূরীভূত হয়, কিন্তু এটা মা ও
শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদে
মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment