রসুনের অপকারীতা
সতর্কবার্তা:
রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকর।দিনে
২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া
যাবে না। রান্নায় এটি ব্যবহার হলেও
দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন ব্যবহার
করতে হবে । যাদের রসুন খাওয়ার ফলে
এলার্জি হবার আশঙ্কা থাকে বা হয়
তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া
থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের রসুন
খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়,
বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন
সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য কাঁচা
রসুন না খাওয়াই ভাল। আবার
অতিরিক্ত খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
হতেও পারে তাই বেশি রসুন খাওয়া
ঠিক নয়।
অনেকের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে
বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া
তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন
রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা
প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে
অসুবিধা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন
খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি
বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখতে
হবে। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের
রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন
খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের
মাধ্যমে শিশুরপাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর
যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।
অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য হয় না। এখন
রসুনকে ঔষধের বড়ি হিসেবে তৈরি
করার জন্য তাদের সুপারিশ করা
হয়েছে। রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ
রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না।
কারণ এসব রসুনের কার্যগুন নষ্ট হয়ে
যায়। কেনার সময় মাঝারি আকারের
রসুন কিনতে হবে।রসুন বন্ধ পাত্রে না
রেখে খোলা পাত্রে রাখা ভাল।
ভুলেও রেফ্রিজারেটরে রসুন রাখবেন
না। এতে করে রসুন নরম হয়ে যাবে।নরম
রসুন স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজার জন্য বা
কারি পেস্টের জন্য রসুন ব্যবহার করা
হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment