আস্তিক-নাস্তিক তারা দুই বন্ধু। একজন ভগবানে বিশ্বাসী অর্থাৎ আস্তিক, আরেকজন ভগবান বিশ্বাস করে না অর্থাৎ নাস্তিক। দুই বন্ধুতে আবার ভীষণ ভাব, হরিহর আত্মা আর কি!
একদিন আস্তিক বন্ধুটির ভীষণ মন খারাপ হলো। নাস্তিক বন্ধুটি বললো, "চলো বন্ধু জলসায় যাই। নৃত্য ও গীত উপভোগ করলে দেখবে এক নিমিশেই মন ভালো হয়ে গিয়েছে।"
কিন্তু আস্তিক বন্ধুটির এসব ভালো লাগতো না। তাই সে কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে আরতির সময় নেচে নেচে কীর্ত্তন করতে লাগলেন। আর নাস্তিক বন্ধু মনের সুখ খুঁজতে গেলো বাইজীর জলসা খানায়। সেখানে নাচ, মদ আর জুয়া খেলায় উন্মত্ত হয়ে রইলো।
অনেকক্ষণ পর দুই বন্ধু আবার একসাথে হলো। নাস্তিক বন্ধুটি জুয়া খেলে এক টোপলা স্বর্ণমুদ্রাও নিয়ে আসলো। আর আস্তিক বন্ধুটি আসার সময় পথে পায়ের তলায় পেরেকের আঘাতে পা রক্তাক্ত করে আসলো।
এমতাবস্থায় আস্তিক বন্ধুটি সব কিছু শুনে ভগবানের এমন লীলা খেলার উত্তর না পেয়ে, মন খারাপ করে বাড়ি চলে গেলো। মৃত্যুর পর পাপ-পূণ্যের হিসাব নিকাশের জন্য যখন যমালয়ে গেলেন তখন সেই প্রশ্নটির উত্তর আস্তিক ব্যক্তিটি জানতে চাইলেন। কেনো তাকে ভালো কাজের জন্য এমন কষ্ট পেতে হলো।
তখন যমরাজ হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, “আসলে আপাত দৃস্টিতে আমরা যা দেখি, অনেক সময় তা পারমার্থিক দৃষ্টিতে অন্য কিছু বোঝায়। তোমার বন্ধু সেদিন লটারীতে বিশাল বড় ধনী হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু তার পাপ কর্মের জন্য সব হারিয়ে অল্প কিছু নিয়ে তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর তোমার সেদিন মৃত্যুর কথা ছিলো। ভগবানের কীর্তন করার ফলে তোমার আয়ু বর্ধিত হয়। আর মৃত্যুর পরিবর্তে তিল পরিমান আঘাত পাও।"
এই দুঃখের ভবসাগরে আমাদের জীবনে কষ্ট আসতেই পারে। নিরাশ না হয়ে বুঝতে হবে আমাদের যা প্রাপ্য ভগবানের কৃপায় আমরা তার থেকে অনেক কম কষ্ট ভোগ করছি। ভগবানের জন্য নিবেদিত সেবা কখনোই বিফলে যায় না। শুধু বোঝার জন্য পারমার্থিক জ্ঞান দরকার, যা সবার থাকে না। আর অনেকের থাকলেও তা প্রয়োগের সময় পায় না স্থান, কাল, পাত্র আর পরিস্থিতির নির্ম্মম পরিহাসের স্বীকার হয়। তবুও আমাদের দমলে চলবে না। আমাদের মন সর্বদা সজাগ রেখে 'কৃষ্ণনাম' চিন্তা করলে, মন্দির তো আমাদের দেহই তৈরী হয়ে পড়বে।
পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণর শ্রীচরণকমলে আমাদের নিরবধি প্রার্থনা, সকলের জীবন মঙ্গলময়, কল্যাণময়, শান্তিময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে উঠুক।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
একদিন আস্তিক বন্ধুটির ভীষণ মন খারাপ হলো। নাস্তিক বন্ধুটি বললো, "চলো বন্ধু জলসায় যাই। নৃত্য ও গীত উপভোগ করলে দেখবে এক নিমিশেই মন ভালো হয়ে গিয়েছে।"
কিন্তু আস্তিক বন্ধুটির এসব ভালো লাগতো না। তাই সে কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে আরতির সময় নেচে নেচে কীর্ত্তন করতে লাগলেন। আর নাস্তিক বন্ধু মনের সুখ খুঁজতে গেলো বাইজীর জলসা খানায়। সেখানে নাচ, মদ আর জুয়া খেলায় উন্মত্ত হয়ে রইলো।
অনেকক্ষণ পর দুই বন্ধু আবার একসাথে হলো। নাস্তিক বন্ধুটি জুয়া খেলে এক টোপলা স্বর্ণমুদ্রাও নিয়ে আসলো। আর আস্তিক বন্ধুটি আসার সময় পথে পায়ের তলায় পেরেকের আঘাতে পা রক্তাক্ত করে আসলো।
এমতাবস্থায় আস্তিক বন্ধুটি সব কিছু শুনে ভগবানের এমন লীলা খেলার উত্তর না পেয়ে, মন খারাপ করে বাড়ি চলে গেলো। মৃত্যুর পর পাপ-পূণ্যের হিসাব নিকাশের জন্য যখন যমালয়ে গেলেন তখন সেই প্রশ্নটির উত্তর আস্তিক ব্যক্তিটি জানতে চাইলেন। কেনো তাকে ভালো কাজের জন্য এমন কষ্ট পেতে হলো।
তখন যমরাজ হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, “আসলে আপাত দৃস্টিতে আমরা যা দেখি, অনেক সময় তা পারমার্থিক দৃষ্টিতে অন্য কিছু বোঝায়। তোমার বন্ধু সেদিন লটারীতে বিশাল বড় ধনী হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু তার পাপ কর্মের জন্য সব হারিয়ে অল্প কিছু নিয়ে তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর তোমার সেদিন মৃত্যুর কথা ছিলো। ভগবানের কীর্তন করার ফলে তোমার আয়ু বর্ধিত হয়। আর মৃত্যুর পরিবর্তে তিল পরিমান আঘাত পাও।"
এই দুঃখের ভবসাগরে আমাদের জীবনে কষ্ট আসতেই পারে। নিরাশ না হয়ে বুঝতে হবে আমাদের যা প্রাপ্য ভগবানের কৃপায় আমরা তার থেকে অনেক কম কষ্ট ভোগ করছি। ভগবানের জন্য নিবেদিত সেবা কখনোই বিফলে যায় না। শুধু বোঝার জন্য পারমার্থিক জ্ঞান দরকার, যা সবার থাকে না। আর অনেকের থাকলেও তা প্রয়োগের সময় পায় না স্থান, কাল, পাত্র আর পরিস্থিতির নির্ম্মম পরিহাসের স্বীকার হয়। তবুও আমাদের দমলে চলবে না। আমাদের মন সর্বদা সজাগ রেখে 'কৃষ্ণনাম' চিন্তা করলে, মন্দির তো আমাদের দেহই তৈরী হয়ে পড়বে।
পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণর শ্রীচরণকমলে আমাদের নিরবধি প্রার্থনা, সকলের জীবন মঙ্গলময়, কল্যাণময়, শান্তিময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে উঠুক।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
No comments:
Post a Comment